বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছাদূত থাকবেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে কমিশন।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ কথা বলেন।
প্রশ্ন ছিল, দুদকের শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে কি না বা এ অবস্থাতেও সাকিব আল হাসান কমিশনের শুভেচ্ছাদূত থাকছেন কি না।
জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ এলেই তো সঙ্গে সঙ্গে কোনো কিছু হয় না। একটু সময় দেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন দেখছে, অপেক্ষা করুন।’
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং দলের অধিনায়ক। তার সঙ্গে দুদকের ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে উনি দুদকের হয়ে তথ্যচিত্র তৈরিতে কাজ করবেন। এবং তার সঙ্গে শুধু একবার ২০১৮ সালে যখন দুদকের ১০৬ কমপ্লেইন হটলাইন চালু হয়, তখন একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমরা আর কোনো তথ্যচিত্র বা কোনো কার্যক্রম করিনি।’
সম্প্রতি জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, শেয়ারবাজারে কারসাজি, নিজের বাবার নাম জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।